শীতকালীন কাশির সমস্যার চটজলদি সমাধান !!
শীতকালীন সময়ে হিম হিম ঠাণ্ডাভাবটা ভালো লাগার পাশাপাশি খানিকটা উষ্ণতাও প্রয়োজন হয়। যে কারণে গরম পিঠা বা কাপ ভর্তি চায়ের কদর অনেকটাই বেড়ে যায় এই সময়টাতে। তবে এইসব ভালোলাগার পাশাপাশি শীতকাল আসে ঠাণ্ডাজনিত বেশকিছু সমস্যা নিয়ে। এসব সমস্যার ভেতর খুশখুশে কাশির উপদ্রব দেখা দেয় প্রায় সকল বয়সীদের মাঝে। কাশির বিরক্তিকর এই সমস্যাটি একবার দেখা দিলে সহজে যেন ভালো হতেই চায় না।
তাই আজকের ফিচারে চমৎকার একটি ঘরোয়া সমাধান তুলে ধরা হলো। যেটা তৈরি করতে প্রয়োজন হবে খুবই সাধারণ চারটি উপাদান। জেনে নিন কাশি সারানোর জন্য কীভাবে তৈরি করতে হবে প্রাকৃতিক এই চমৎকার ঔষধটি।
আপনার প্রয়োজন হবে:
– ৫ চা চামচ পরিমাণ কুচানো আদা।
– এক কাপের এক-চতুর্থাংশ পরিমাণ অলিভ অয়েল।
– আধা কাপ পরিমাণ মধু।
– ৪-৫ চা চামচ পরিমাণ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার।
– এক কাপের এক-চতুর্থাংশ পরিমাণ অলিভ অয়েল।
– আধা কাপ পরিমাণ মধু।
– ৪-৫ চা চামচ পরিমাণ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার।
আদার গুণ:
হলুদ এবং আদা একই গোত্রের উদ্ভিদ। যে কারণে আদাতে রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহ-বিরধি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান। যা শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহ কমাতে এবং ক্ষুধাভাব বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে।
মধুর গুণ:
গলা ব্যথার ক্ষেত্রে মধু দারুণ কার্যকরি একটি উপাদান। বিশেষ করে মধুতে থাকা প্রদাহ-বিরোধী উপাদান ও অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান সমূহ কাশি উপশমে খুব ভালো কাজ করে থাকে।
মধুর গুণ:
গলা ব্যথার ক্ষেত্রে মধু দারুণ কার্যকরি একটি উপাদান। বিশেষ করে মধুতে থাকা প্রদাহ-বিরোধী উপাদান ও অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান সমূহ কাশি উপশমে খুব ভালো কাজ করে থাকে।
যেভাবে প্রস্তুত করতে হবে:
১/ একটি বাটিতে আদা কুচি নিতে হবে। এতে আধা কাপ পরিমাণ মধু দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটিকে টানা আট ঘন্টা সময়ের জন্য রেখে দিতে হবে, যেন মধুর ভেতর আদার নির্যাস ভালোভাবে মিশে যেতে পারে।
২/ আট ঘন্টা পার হয়ে গেলে এই মিশ্রণে এক কাপের এক-চতুর্থাংশ পরিমাণ অলিভ অয়েল দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে হবে।
২/ আট ঘন্টা পার হয়ে গেলে এই মিশ্রণে এক কাপের এক-চতুর্থাংশ পরিমাণ অলিভ অয়েল দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে হবে।
৩/ এই মিশ্রণে ৪-৫ চা চামচ পরিমাণ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার নিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিতে হবে। যেন সকল উপাদান একসাথে ভালোভাবে মিশে যায়।
৪/ সকল উপাদান ভালোভাবে মিশে যাওয়ার পর একটি পরিস্কার ছাঁকনির সাহায্যে মিশ্রণটিকে ছেঁকে নিতে হবে।
৪/ সকল উপাদান ভালোভাবে মিশে যাওয়ার পর একটি পরিস্কার ছাঁকনির সাহায্যে মিশ্রণটিকে ছেঁকে নিতে হবে।
৫/ ভালোমতো ছেঁকে নেওয়ার পর যে স্বচ্ছ তরল পদার্থটি তৈরি হবে সেটা কাঁচের কৌটায় মুখবন্ধ অবস্থায় রেখে দিতে হবে। তৈরিকৃত এই রসটি পরবর্তী ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। কাশির সমস্যা থেকে দ্রুত পরিত্রাণ পেতে চাইলে প্রতিদিন তিন বেলায় তিন চা চামচ পরিমাণ এই রসটি খেতে হবে।

No comments